হাসান আলী বান্দেরপাড় গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, হাসান আলী প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার শশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে নিজ বাড়িতে আনার কথা ছিল হাসানের। সকাল ১১টা পর্যন্ত শশুর বাড়িতে না যাওয়ায় তার স্ত্রী আফরোজা বেগম পাশের গ্রাম জোলা পাড়া থেকে স্বামী হাসানের বাড়িতে যান এবং ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এসময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে হাসান আলীকে ঘরের আরার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় পাশে একটি চিঠি দেখতে পায় পুলিশ।
চিঠিতে হাসান আলী লিখেছেন, ‘মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বৌ-বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বৌ আমার সঙ্গে রাগ করছে। ঈদের জন্য সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি গুছ খাওয়াইতে পারি নাই। আমি আমার বৌয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার দেখছি। যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। ‘
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে অনেক ভালোবাসেন তিনি। তাকে ও তার সন্তানকে দেখে রাখার জন্য নিজ বাবা-মার প্রতি অনুরোধ করেন। ‘
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।