1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

চলতি সপ্তাহে কী কারণে দুবাইয়ে এত বৃষ্টি

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

চলতি সপ্তাহে তীব্র ঝড় ও ব্যাপক ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো। বিশেষ করে তীব্র ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যাতে বিপর্যস্ত অবস্থা দুবাই ও ওমানের।। মরুভূমি ও শুস্ক আবহাওয়ায় অভ্যস্ত দুবাইয়ে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও বিমানবন্দর। টানা তিনদিনের বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ে দেশটির নাগরিকরা বিপর্যস্ত।

ইতিমধ্যে স্কুল ও সরকারি কর্মীদের বাড়ি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরমার্শ দিয়েছে সরকার।

খালিজ টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় অনেক মহাসড়ক। বিঘ্নিত হয় বিমানবন্দর কার্যক্রমও। উদ্ধারকারীরাও কাজে নেমে যান।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ৭৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এই বৃষ্টি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময় খাতল আল শাকলা এলাকায় ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিরল এই বৃষ্টির মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। ব্লুবমার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লাউড সিডিংয়ের কারণেও এই বৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

ক্লাউড সিডিং হলো কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি হওয়ার এক পদ্ধতি। এতে ছোট বিমান মেঘের ভেতরে যায় এবং বৃষ্টিপাত ঘটাতে মেঘের মধ্যে ‘সিডিং এজেন্ট’ প্রবর্তন করে। তবে শুধু এই কারণে এত বৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

স্কাই নিউজের আবহাওয়া সংবাদ বিষয়ক প্রতিনিধি ক্রিস ইংল্যান্ড বলেন, কৃত্রিম বৃষ্টিপাতে নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এত বৃষ্টি হচ্ছে দুবাইয়ে।

ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের জলবায়ুবিজ্ঞানের অধ্যাপক রিচার্ড অ্যালেন বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের তীব্রতা নতুন রেকর্ড গড়েছে। কিন্তু জলবায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে এর যোগসূত্র আছে। ঝড় সৃষ্টিতে এবং ভারী বৃষ্টি ঝরাতে আর্দ্রতার পরিমাণ যত বাড়বে, এর সঙ্গে যুক্ত বন্যাও ক্রমশ শক্তিশালী হবে।’

বিবিসির আবহাওয়াবিদ ম্যাট টেইলর বলেন, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার বিষয়ে আগে থেকেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার আগে কম্পিউটার মডেল ২৪ ঘণ্টায় এক বছরের সমান বৃষ্টিপাতের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।

ম্যাট টেইলর বলেন, ‘আমি যদি শুধু ক্লাউড সিডিং থেকে প্রত্যাশা করেও থাকি, এর প্রভাব তার চেয়েও অনেক বিস্তৃত ছিল—বাহরাইন থেকে ওমান পর্যন্ত বিশাল এলাকায় মারাত্মক বন্যা দেখা দেয়।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD