সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা- জনপ্রিয় এ তিন নায়িকাকে বলা হয় ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’। ষাট-সত্তর-আশি ও নব্বই; এই চার দশক চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছিলেন তারা তিন বোন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী সিনেমা।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে একসঙ্গে এফডিসিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তিন বোন। দুপুরের বিরতির পর ২টা ৪৫ মিনিটে বিএফডিসিতে আসেন তারা। শিল্পীরা তাদের দেখে আনন্দিত হয়ে সোগ্লান দিতে থাকে।
এসময় সুচন্দ বলেন, আমি অনেক আশা নিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এফডিসিতে আসা হয় না, নির্বাচনের জন্যই আসা৷ এফডিসি হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির আতুড়ঘর। এখানে শিল্পী সমিতির কোনো বিকল্প নেই। এটা গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন।
শিল্পী ছাড়া যেমন চলচ্চিত্র হয় না তেমন শিল্পীদের একসঙ্গে রাখতে শিল্পী সমিতির বিকল্প নেই। যারা শিল্পীদের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করবে, দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে তাদেরকেই আমরা ভোট দিব। আমাদের সংগঠন যেন সুন্দর হয় এটাই সকলের কাছে আশা।এ সময় ববিতা বলেন, এফডিসিতে আসা বন্ধই করে দিয়েছিলাম।
অনেকদিন পর এফডিসিতে এসেছি খুব ভালো লাগছে। নির্বাচন উপলক্ষে সবার সঙ্গে দেখা হবে এ কারণেই আসা। ভোট দিব, যারা শিল্পীদের জন্য সত্যিকারের কাজ করবে তাদেরকেই ভোট দিব।চম্পা বলেন, নতুন পুরাতন যারাই নির্বাচন করছে প্রত্যেকে আমার প্রিয়। শিল্পী শব্দটা ভীষণভাবে আমাদের পরিবারের মনে হয়।
তাই আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে এক। সবাই মিলে যদি এগিয়ে যেতে পারতাম তাহলে আমাদের শিল্পটাকে অনেক এগিয়ে নিতে পারতাম।চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। বাংলা চলচ্চিত্রের এই তিন বোন প্রায় চার দশক চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছিলেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী সিনেমা।আজ দিনভর চলেছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলেছে। ২০২৪-২০২৬ সনের দ্বিপাক্ষিক এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো বিএফডিসি ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। বিএফডিসি পরিনত হয়েছে চলচিত্র শিল্পীদের মিলন মেলায়।চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক মেয়াদের এবারের নির্বাচনে ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।