এই ঘটনার পর ক্ষদ্ধ সাংবাদিকরা বিচার দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন লিমন আহমেদ। তিনি জানান, হামলার ঘটনায় এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে। একই সঙ্গে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘‘কালো দিবস’’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।
এর আগে এফডিসিতে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি বসে।
যেখানে সাংবাদিকদের পক্ষে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক লিমন আহমেদ জানান, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাঁদের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টররাও হামলায় অংশ নেন।