ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে
রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শনিবার বিকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবি অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন সাংবাদিকদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাটপাররা দেশের টাকা বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে, কিন্তু সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ওষুধ নীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ওষুধ আমদানি করা হতো। ওষুধ নীতির ফলে এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ওষুধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ওষুধ এখন বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই ওষুধ নীতি করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমআই) এর সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ১৯৮২ সালে ওষুধ নীতি করার কারণে আজকে আমরা ৪২ বছর পর এটার সুফল পাচ্ছি। কিন্তু এই ওষুধ নীতি করতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অপমানিত হয়েছেন।