সামনে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার বড় সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার আগে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেয়ার রাস্তাটা খোলা থাকছে টাইগারদের। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি গড়াবে।
সিরিজটি বেশ লম্বা। পাঁচ ম্যাচের হওয়ায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে স্কোয়াডের সবাইকে পরখ করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানকে প্রথম তিন ম্যাচে পাবে না টিম টাইগার্স। তারপরও ফেভারিট হিসেবেই নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানালেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার চেয়ে সিরিজ জেতাটাই মুখ্য তার কাছে।
‘প্রথমত, অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখব কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, তাও নয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলব না। বলব সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।’
সামনেই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে চলা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
দলটির বিপক্ষে এই ফরম্যাটে ২০ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হার ৭ ম্যাচে। পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে থেকে শুরু করছে বাংলাদেশ। আইপিএল ছেড়ে দেশের হয়ে সিরিজ খেলতে চলে আসা জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছেন।
‘জানি ওরা শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে। কিন্তু সিরিজটা ছিল ২-১ ব্যবধানের। দুইশর মতো রান তাড়া করছিল সম্ভবত একটা ম্যাচে। সে ম্যাচে গভীরতা দেখতে পাবেন। রিয়াদ ভাই ভালো করেছে, জাকির একটা ভালো ইনিংস খেলেছে। লেগ স্পিনার রিশাদ দারুণ খেলেছে। আমরাও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজটা জিততে জিততে হেরেছি। শুধু আশা করছি সিরিজটি যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। সমর্থকরা বিরক্তিকর সিরিজ উপভোগ করবে না। যদি ইতিহাস দেখেন, এ দুই দলের সিরিজ সবসময় উপভোগ্য হয়। এবারও তেমনই হবে আশা করি।’