৬৫ বছর বয়সেও কমেনি আবেদন। সুরের ঝংকারে আর নাচের তালে তালে দর্শক মাতালেন ম্যাডোনা। গত শনিবার রাতে ব্রাজিলের বিখ্যাত কোপাকাবানা সৈকতে তার কনসার্টে এসেছিলেন ১৬ লাখের বেশি দর্শক! যা একক শিল্পীর কনসার্টে দর্শক উপস্থিতির দিক থেকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় কনসার্ট বলে দাবি আয়োজকদের।
১৯৮৩ সালে পেশাদার গানের দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেন ম্যাডোনা। গানে চার দশক পূর্তি উপলক্ষে গত বছর শুরু হয় তার ‘দ্য সেলিব্রেশন ট্যুর’ কনসার্ট। ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর লন্ডনে শুরুর পর শনিবার রাতে রিও ডি জেনিরোতে ঐতিহাসিক শো দিয়ে শেষ হয় আলোচিত এই কনসার্ট ট্যুর।
কনসার্ট উপলক্ষে দুপুরের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে ব্রাজিলের প্রখ্যাত এই সমুদ্রসৈকতে। সন্ধ্যার পর আক্ষরিক অর্থেই পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোপাকাবানা প্যালেস হোটেল থেকে বিশেষ এলিভেটেড ব্রিজে মঞ্চে আসেন ম্যাডোনা। পরনে কালো পোশাক, পপ তারকা শো শুরু করেন নব্বইয়ের তুমুল জনপ্রিয় গান ‘নাথিং রিয়েলি ম্যাটার্স’ দিয়ে। জনসমুদ্র ততক্ষণে উল্লাসে ফেটে পড়েছে, কোপাকাবানা সৈকত পরিণত হয়েছে উৎসবের কেন্দ্রে।
‘রিও, দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় আমরা আছি’, গান থামিয়ে হঠাৎ বলতে শুরু করেন ম্যাডোনা। উপস্থিত দর্শক হাত নেড়ে আর ক্রমাগত চিৎকারে দেন যোগ্য সংগত। রাত যত বাড়তে থাকে, ম্যাডোনা-জাদুতে বুঁদ হয়ে যান সবাই।
‘লাইক আ প্লেয়ার’, ‘ভোগ’-এর মতো একের পর এক বিখ্যাত সব গান আর ম্যাডোনার আবেদনময়ী নাচে মেতে ওঠেন দর্শক।
এদিন কনসার্টটি ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য সৈকতে অনেকগুলো বড় পর্দা লাগানো হয়েছিল। এ ছাড়া পুরো সৈকতে ছিল টি-শার্ট, স্যুভেনিরসহ নানা উপকরণের দোকান। এই কনসার্ট ব্রাজিলের স্থানীয় অর্থনীতিতে ৪০ লাখ ডলারের বেশি অবদান রেখেছে বলে জানা গেছে। কনসার্ট দেখতে সারা দুনিয়া থেকে এসেছিলেন অনেক ম্যাডোনা-ভক্ত। এ জন্য রিও ডি জেনিরোতে ১৭০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট নেমেছে। স্থানীয় হোটেলগুলোও ছিল প্রায় শতভাগ পূর্ণ। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৩ হাজার ২০০ সেনাসদস্য, প্রস্তুত ছিলেন ১ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য।