আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের ১৫-১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সেসময় সাংবাদিকদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়। আটকদের ছাড়িয়ে আনতে গেলে পুলিশ তাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
এর আগে দুপুর ১১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’র ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
সেসময় ‘৩০-এর শৃঙ্খল ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দাবি মোদের একটাই- ৩৫, ‘আওয়াজ তোলো- ৩৫’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ- প্রকাশ কর প্রজ্ঞাপন’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ৩৫ আন্দোলন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নয়, এটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন। সারা বাংলাদেশের লাখো শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। ৩৫ আন্দোলনের দাবি তাদের ন্যায্য অধিকার। এই অধিকার দিতেই হবে। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। এই আন্দোলনের স্রোত শুধু ঢাকাতেই থাকবে না। এটি আমরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবেন তারা।
তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো মাথায় না নিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেন তারা।
সমাবেশে তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে, কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।