1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪

 জেলার বাঘা উপজেলায় মোবাইল ফোনের দোকানের সেলসম্যানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। এছাড়া একই মামলায় মেহেদী হাসান রকি (২৫) নামে আরও এক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

নিহত জহুরুল ইসলামের (২৩) গ্রামের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি রাজশাহীর বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আম বাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জহুরুল ইসলামকে। পরে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই জহুরুলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।

রায়ের পর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বলেন, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল পাওনা টাকার জন্য প্রায়ই তাদের চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন কোনোভাবেই সেই টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে জহুরুল ইসলামকে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে তারা পালিয়ে যান। তারা লুটকৃত স্মার্ট ফোনগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

ঘটনার পর ওই বছরের ৬ জানুয়ারি রাজশাহীর বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়।

অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু আরও বলেন, বাঘা থানা পুলিশ এই মামলার তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ বুধবার আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর কোর্ট পুলিশ তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। আর এই রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD