1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

রাইসির মৃত্যু, ইরানে আতশবাজির উৎসব!

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ার খবরের পর তেহরান ও মাশহাদের রাস্তায় জমায়েত হন অনেকেই। তাঁরা রাইসির জন্য দোয়া করেন। কিন্তু ঠিক সে সময়টাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দুর্ঘটনা নিয়ে হাস্যরসাত্মক পোস্ট দিয়েছেন কেউ কেউ। আর রাইসির মৃত্যুর খবরের পর তো রীতিমতো উৎসব শুরু হয় কয়েকটি এলাকায়।

  

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৯ আরোহী রোববার নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটি। এই খবরে গোটা বিশ্ব যখন স্তব্ধ, তখন ইরানেই আতশবাজিতে উৎসব করতে দেখা যায়। কিন্তু এর পেছনের কারণ কী? রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগেই উৎসব দেখা যায়। তাদের বেশ কয়েকজন প্রতিবেদক সেসব ভিডিও হাতে পেয়েছেন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তেহরানের এক ব্যক্তি বলছেন, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সুখবরটি আসুন উদ্‌যাপন করি। ’

এসব উৎসব বন্ধ করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সদস্যরা।

এই উৎসবের কারণ জানাতে গিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের সাংবাদিক, বিশ্লেষক জোনাথন হ্যারনওফ ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘একজন সংরক্ষণশীল নেতা ছিলেন রাইসি। এর পাশাপাশি বর্বর বিচার ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমেই তিনি নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছেন। হাজারো বন্দীর প্রাণ গেছে তার হাতে। আর এ কারণেই তাকে তেহরানের কসাই ডাকা হয়। ’

কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি নিহতের ঘটনা মনে করিয়ে দেন বেশ কয়েকজন নারী মানবাধিকারকর্মী। এ কারণে তারা আজকের দিনটিকে ‘বিশ্ব হেলিকপ্টার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ সময় অনেককে নাচতে দেখা যায়।

ছবি: এক্সের সৌজন্যে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ইরানিদেরও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এর মধ্যে লন্ডনের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়া ইরান সরকারের রোষাণলে পড়ে যারা দেশ ছেড়েছেন, তারা উল্লাস করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ইব্রাহিম রাইসি ইরানের একজন ধর্মীয় ‘কট্টরপন্থী’ নেতা ছিলেন। ইরানে বাকস্বাধীনতাকে চূর্ণ করা এবং নারীদের জন্য কঠোর ‘হিজাব ও সতীত্ব আইন’ প্রয়োগ করার মতো পদক্ষেপ দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।


২০২২ সালে পুলিশী হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদের সূত্রপাত হয়। হিজাব না পরার কারণে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাহসা।  শুধু তাই নয়, ১৯৮৮ সালে ইরানের রাজনৈতিক বন্দীদের গণফাঁসির পেছনে রাইসির ভূমিকা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এ কারণেই ‘তেহরানের কসাই’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন রাইসি।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD