পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, যে ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে কলকাতা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু সেখানে লাশ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, দেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার হলেও এমপির সম্পূর্ণ মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দেহের মূল অংশ ট্রলিতে (লাগেজ) করে পাচার করা হয়েছে। তবে দেহাবশেষ উদ্ধার করা গেছে।
জানা গেছে, যে ফ্ল্যাট থেকে আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিকও একজন বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছেন সেই ব্যক্তি। তাকে ধরতেও অভিযান চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
এদিকে কলকাতা সংলগ্ন সিঁথি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার সঞ্জিভা গার্ডেন নামের ওই ফ্ল্যাটের ভেতরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সেখানে রক্তের দাগ ছাড়াও অন্যান্য আলামত রয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ১৩ মে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের সঙ্গে তিনজন ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছেন। তার মধ্যে একজন ছিলেন নারী। তবে ওই তিনজন পৃথকভাবে সেই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছেন। এর মধ্যে একজন ১৫ মে, একজন ১৬ মে ও অন্যজন ১৭ মে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছেন।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। আনারকে হত্যার বিষয়ে অনেক তথ্যই আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিনদিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি।
ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হলে সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি।