চলছে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে ভেজতে গেলেও আজ মাঠে নেমেছে দুই দল। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ফলে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেনার ফিল সল্টের উইকেট তুলে নেয় ইমাদ ওয়াসিম। ৯ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৭১ রানের পার্টনারশীপ গড়ে জস বাটলার ও জ্যাকস। ২৩ বলে ৩৭ রান করে জ্যাকস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৫১ বলে ৮৪ রান করে হারিস রউফের শিকার হন বাটলার। জনি বারিস্টোকে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদী। ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
হ্যারি ব্রককে ফেরান ইমাদ ওয়াসিম। ২ বলে ১ রান করেন তিনি। ৪ বলে ৭ রান করেন মঈন আলী। ক্রিস জর্ডানকে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদী। ৩ বলে ৩ রান করেন তিনি। জোফ্রা আর্চার শেষের দিকে ৪ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভার বল করে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদী। ৪ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম। নির্ধারীত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে ইংল্যান্ড। ফলে জয়ের জন্য ১৮৪ রান করতে হবে পাকিস্থানকে।
১৮৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারী পাকিস্তানের। শুরুতেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাইম আইয়ুবকে হারায় পাকিস্তান। ৩ বলে ০ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ৭ বলে ২ রান করেন সাইম আইয়ুব। তবে এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম ও ফখর জামান।
২৮ বলে ৫৩ রানরে পার্টনারশীপ গড়েন তারা। ২৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন বাবর আজম। ২১ বলে ৪৫ রান করেন ফখর জামান। ৪ বলে ৩ রান করে শাদাব হোসেন। ১০ বলে ১১ রান করেন আজম খান। ১৭ বলে ২৩ রান করেন ইফতেখার আহমেদ। ১৩ বলে ২২ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। ৫ বলে ৩ রান করেন আমির। ১১ বলে ৯ রান করেন আফ্রিদী। ২ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন হারিস রউফ।
১৯.২ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে পাকিস্তান। যার ফলে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।