শনিবার (২৫ মে) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ফিল্ডিং
করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রকে
ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ারসেরা
বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ১০৪ রানে থেমেছে।
চার ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়ে
৬ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।
আগের দুই ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করলেও যুক্তরাষ্ট্রের রানের
চাকায় সেভাবে লাগাম দিতে পারেননি মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশও হেরেছে লজ্জাজনক ভাবে। প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দেশ
বাংলাদেশ যারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের লজ্জায় পড়েছে।
তৃতীয় ম্যাচের আগে বাংলাদেশ আছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কায়।
তবে এদিন আগে ফিল্ডিং করতে নামা বাংলাদেশ ভিন্নরূপে আবির্ভূত।
বিশেষ করে মুস্তাফিজ হাজির রুদ্রমূর্তি নিয়ে।
এদিন বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন কাটার মাস্টার।
পেছনে ফেলেছেন ইলিয়াস সানিকে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম কোনো বাংলাদেশি ইনিংসে ৬ উইকেট নিলেন।
এর আগে ইলিয়াস সানির ১৩ রানে ৫ উইকেট শিকারই বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল।
২০১২ সালে বেলফাস্টে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
মুস্তাফিজ ও ইলিয়াস সানি ছাড়াও আরও দুই বাংলাদেশি টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকার করেছেন।
মোসাদ্দেক আলী সৈকত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন। সাকিব আল হাসান
জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি দেখিয়েছেন।
মুস্তাফিজও এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই কীর্তি গড়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
মুস্তাফিজের আজকের বোলিংটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম সেরা।
টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি সিরাজুল ইদরুসের দখলে। মালয়েশিয়ার
এই বোলার গতবছর চীনের বিপক্ষে মাত্র ৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক ভারতের দীপক চাহার।
২০১৯ সালে নাগপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষেই মাত্র ৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন এই ভারতীয়।