গত ৯ মে থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। বুধবার (২৯ মে) ভোর পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৯৮৫ জন হজ পালনে সৌদিতে পৌঁছেছেন। আগামী ১২ জুন শেষ হবে ফ্লাইট। হজের শেষ সময় এসে প্রায় ৩ হাজার হজপ্রত্যাশীর হজযাত্রায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ১১টি ব্যাংকের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হয়েছে। সেই টাকা থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বিমানের টিকিট কাটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু ১১টি ব্যাংক ২ হাজার ৯৩৮ ব্যক্তির বিমানের টিকিট কাটার টাকা আটকে রেখেছে। এসব ব্যক্তির জমা করা টাকা এয়ারলাইন্সের বাবদ পে অর্ডার করার জন্য কয়েক দফা চিঠি দিলেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো সেই অর্থ ছাড় করছে না। ফলে সব প্রস্তুতি থাকার পরও এসব হাজপ্রত্যাশীদের বিপরীতে বিমানের টিকিট ইস্যু করতে পারছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলো।
বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভারে যুগ্ম সচিব মনজুরুল হক এক চিঠি দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে। বৃহস্পতিবারের (৩০ মে) মধ্যে এ অর্থ ছাড় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
পে অর্ডার ইস্যু করেনি সেই ১১টি ব্যাংক হলো— আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এক্মিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হাজযাত্রীর পে অর্ডার ইস্যু করেনি প্রিমিয়াম ব্যাংক। এ ব্যাংক মোট ৫৮৬ জন ব্যক্তির টাকা আটকে রেখেছে। এরপর শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক আটকে রেখেছেন ৫১৪ জনের টাকা।