২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পর দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২।
রোববার (২ জুন) সকালে গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ভিডিও চিত্র তৈরি প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন স্যাটেলাইটের কী দরকার ছিল! আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যাদের সবকিছুতে কিছু ভালো লাগে না। যেটাই করবো, তারা বলে এটা কী দরকার ছিল। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এটার কী দরকার! খামাখা পয়সা নষ্ট! এরকম নেতিবাচক মনোভাব নিয়েই তারা চলে। আবার যখন তৈরি করি তখন খুব মজা করে ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ এর পর আমরা ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম। বিদেশে যখন যেতাম, বাংলাদেশ শুনলে বলতো- তোমাদের ওখানে তো দুর্ভিক্ষ হয়, ঝড় হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, বন্যা হয়। খুব করুণার পাত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘এয়ার এমিরেটসে উঠলে দেখতাম বাচ্চাদের জন্য চাঁদা তোলা হতো, সেখানে বাংলাদেশের নাম আছে। আমার আত্মমর্যাদায় লাগলো। আমি সরকারে আসার পর বললাম এই জিনিসটা যেন না থাকে। আমরা আসার পর খাদ্য নিরাপত্তা, লেখাপড়া নিশ্চিত করেছি। আমরা বলেছি আমরা কারও কাছে হাত পাতবো না।’