বগুড়ার একটি আবাসিক হোটেলে এক নারী ও এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সেনাসদস্য আজিজুল হককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে।
এর আগে রোববার সকালে বগুড়া শহরের বনানী এলাকার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, আশামনি (২২) ও ১১ মাস বয়সী শিশু আব্দুল্লাহেল রাফী।
শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জানান, শনিবার রাত ৯ টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমা পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া করেন।
পর দিন রোববার আজিজুল হক রুম ছেড়ে দিবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এসময় হোটেলের ম্যানেজার তার স্ত্রী সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সকালে চলে গেছেন। পরে সন্দেহ বসত হোটেল ম্যানেজার রুমে যান এবং খাটের নিচে বস্তা দেখতে পান।
এদিকে নিহত আশামনির বাবা আসাদুল জানান, তিন বছর আগে আজিজুল হকের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই বাবার বাড়িতে বসবাস করে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রবিবার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আজিজুল বগুড়া শহরের নারুলীতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে কেনাকাটা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত ১০ টার দিকে আজিজুল হক ফোন করে তার শ্বশুরকে জানান, রাত ৮ টা’র দিকে তিনি স্ত্রী সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেন কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই স্ত্রীর ফোন বন্ধ পান।
পরদিন রোববার সকালে তিনি তার মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করেন এবং সদর থানায় জিডি করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা এবং সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পান।
এদিকে পুলিশ হোটেলে পৌঁছে সেনা সদস্য আজিজুল হককে হেফাজতে নেয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।