জানা যায়, সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে আসলে ছাত্রলীগের কর্মী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আয়াশ রহমান এজাজের মাথায় গুলি করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ সময় এজাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মিছিলে থাকা তার সহপাঠীরা দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ঢাকায় পাঠান। ঢাকা নেওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়। এ সময় জেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জমায়েত হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের দিকে যায়।
নিহতের মামাতো ভাই জুনায়েদ চৌধুরী জানান, উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রার্থীর সমর্থক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল উদ্দিন খোকার অনুসারী ছিলেন হাসান আল ফারাবী জয়। বিজয় মিছিল চলাকালে সাবেক ভিপি জালাল উদ্দিন খোকার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, আমার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেনি। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা ছিল। তবে তারা আনারস প্রতীকের সমর্থক ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.আরিফুজ্জামান বলেন, এজাজের মাথার বাম পাশের কানের উপরে মারাত্মক একটি ক্ষত রয়েছে। তার সঙ্গে আসা বন্ধুরা জানিয়েছেন গুলি লেগেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আসলাম হোসাইন বলেন, শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগের নেতা হাসান আল ফারাবী জয়কে গুলি করেছে বলে শুনেছি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কর্মী আয়াশ রহমান এজাজকে গুলি করে একজন কোমরে পিস্তল গুঁজতে গুঁজতে চলে যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।