চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। ফলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি মাস্ট উইন হয়ে গেছে তাদের জন্য। এই অবস্থায় রবিবার (৯ জুন) নিউইয়র্কে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। তবে এতে হেরে গেলেই এবারের আসর থেকে কার্যত বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠবে বাবর আজমের।
গতবার বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান। এবার তাদের অবস্থা নাজেহাল। এই অবস্থায় সমালোচনা না করে বাবরদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। কারণ, বেশি সমালোচনা করলে তাদের পারফরমেন্স উন্নতি না হয়ে আরও খারাপ হতে পারে। পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে মেন ইন গ্রিনদের উদ্বুদ্ধ করলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার শোয়েব আখতার। এই ম্যাচের চাপ নিতে হবে তাদের ভারতের বিপক্ষে খেলাই একটা মোটিভেশন বলছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাট, দল, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই নজর কাড়তে পারেনি পাকিস্তান। এই অবস্থায় চিরপ্রতিদ্বন্দীদের মুখোমুখি হচ্ছেন বাবররা। ম্যাচটি তাদের কাছে বিশ্বকাপে টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার সম্মান রক্ষার জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ম্যাচ জিততে চান শাহিন শাহ আফ্রিদি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাতবারের সাক্ষাতে ৬বারই হেরেছে শোয়েবের দেশ। মাস্ট উইন ম্যাচের আগে পাক ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াতে বিশেষ বার্তা দিলেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় শোয়েব বলেন, বিশ্বাস করুন আমায়, এই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে। যখন আমাদের দল খাদের কিনারায় পৌঁছেছে, তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম থেকেই। একমাত্র ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ব্যতিক্রম। যেখানে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম।
রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ভারত যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু পাকিস্তান দলের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের বিপক্ষে খেলছো। এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর তোমাদের কি হতে পারে?
ওপেনিংয়ে বাবরের সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটি এখন পর্যন্ত দাগ কাটতে পারেনি। এই ম্যাচে দুটি বদলের সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তান দলে। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেট বোলিং সহায়ক। ফলে চার পেসার নিয়েই খেলতে চলেছে তারা।
পাকিস্তান দলের সম্ভাব্য একাদশ-
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), উসমান খান, ফখর জামান, ইমাদ ওয়াসিম, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান/স্যাম আইয়ুব, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।