রোববার (৯ জুন) রাতে তিনি ওই থানার ব্যারাকে ঘুমের বড়ি সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১০ জুন) বিকেলে তিনি মারা যান।
রুবেল মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে তিনি রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার মেসে রাতের খাবার খান। এরপর তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘দ্য এন্ড’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। রাত ১২টার দিকে তার ছোট ভাই স্ট্যাটাসটি দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে জানান। এরপর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে জানালে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ রুবেলকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রুবেল মিয়া মারা যান।
তিনি নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গত সপ্তাহে পরিবার বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থেকে থানার ব্যারাকে থাকতেন তিনি।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, কনস্টেবল রুবেল মিয়া আট বছর ছয় মাস ২৯ দিন আগে পুলিশে যোগদান করেছিলেন। নেত্রকোনা মডেল থানায় এক বছর ছয় মাস আগে যোগদান করেন।
পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।