মঙ্গলবার (১১ জুন) মধ্যরাতে তাদের প্রত্যাহার করে লালমনিরহাট পুলিশলাইনে নিয়ে আসা হয়। এরআগে রাত ৮টায় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল হলেন- নারায়ণ বর্হ্মণ ও মামুন মিয়া। তারা হাতীবান্ধা থানার আওতায় দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা দোয়ানী বাজারের হাসমত আলী নামে এক ভুট্টা ব্যবসায়ী সাধুর বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলায় যাওয়ার পথে ফ্লাড বাইপাসের মাঝামাঝি অন্ধকারে তার পথরোধ করেন দুই ব্যক্তি। এ সময় তার কাছে থাকা ৪৩ লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তখন হাসমত আলী চিৎকার দিলে ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়। তবে ওই সময় তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল না। এ সময় ওই এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জড়ো হন এবং বড়খাতা-জলঢাকা সড়কে বিক্ষোভ ও পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করেন।
খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নারায়ণ বর্হ্মণ ও মামুন মিয়াকে প্রত্যাহার করে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।
দোয়ানী বাজারের ব্যবসায়ী হাসমত আলী বলেন, বিষয়টি রাতে পুলিশের সঙ্গে মীমাংসা করে নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, অভিযোগের কারণে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।