তীব্র গরমের মধ্যেই সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর থেকে হাজীরা ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এর মধ্য দিয়েই হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পবিত্র হজ পালন করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০ লাখেরও বেশি মুসলমান সৌদি আরবে গেছেন। বাংলাদেশ থেকে হজে গেছেন ৮২ হাজার ৭৭২ জন। এছাড়া সৌদির নাগরিক ও প্রবাসীরাও হজে যোগ দিয়েছেন। হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদির সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার মিনায় গিয়েছিলেন ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী। শনিবার তারা যাবেন আরাফাতের ময়দানে। এখানে সারাদিন অবস্থানের পর তারা যাবেন মুজদালিফায়। মিনার মতো মুজদালিফাতেও সারারাত থাকবেন হজযাত্রীরা। এরপর প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে নুড়ি পাথর ছোড়ার পর কাল হজযাত্রীরা পশু কোরবানি করবেন।
পশু কোরবানি ও ঈদুল আজহা পালন শেষে পুরুষ হজযাত্রীরা তাদের মাথা মুণ্ডন করবেন। এরপর তারা যাবেন মক্কার পবিত্র কাবা শরীফে। সেখানে হজের মূল তাওয়াফ করবেন। এরপর আবারো প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করে শেষ হবে তাদের হজযাত্রা।
গত বছর হজ করেছিলেন ১৮ লাখ মানুষ। যদিও ধারণা করা হয়েছিল এই সংখ্যা ২৫ লাখ পার হবে। তবে সেটি হয়নি। যেহেতু মিনায় এবার ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী অবস্থান করেছেন ফলে বোঝা যাচ্ছে গতবারের চেয়ে এবার বেশি মানুষ হজ করবেন।
এ বছরের হজকে সামনে রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল সৌদি। এবার অনুমতি ছাড়া কাউকে হজ করার সুযোগ দেয়নি দেশটির সরকার। এমনকি হজের কয়েকদিন আগে মক্কা থেকে ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে বের করে দেয়া হয়। যাদের বেশিরভাগই অনুমতি ছাড়া হজ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জুন মাসে হজ হওয়ায় এবার হাজিদের প্রচণ্ড গরম সহ্য করে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হচ্ছে। তাই তাদের সাবধানতা অবলম্বন করে হজ পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।