ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘সত্যযুগ গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শিল্পা ও রাজ। ২০১৪ সালে এই সংস্থার অধীনে একটি যোজনা চালু হয়। সোনায় লগ্নি করলে বিনিয়োগকারীদের বড় অঙ্কের লাভের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষে সোনার বাজারমূল্য যাই থাকুক, সেই হারেই সোনা ফেরত দেওয়া হবে। সেই যোজনায় বিনিয়োগ করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কোঠারি।
তার দাবি, তিনি সরাসরি তারকা দম্পতির সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাই বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বেঁকে বসে রাজ-শিল্পার সংস্থা। পাঁচ বছরের মেয়াদ অনুযায়ী পাঁচ হাজার গ্রামের ২৪ ক্যারাট সোনা তার প্রাপ্য। ২০১৯-এর ২ এপ্রিল মেয়াদ সম্পূর্ণ হলেও প্রাপ্য সোনা মেলেনি।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে, এই তারকা জুটির ৯৭.৭৯ কোটির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বিটকয়েনের আকারে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ রিটার্নের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
এছাড়া ২০১৮ সালে দুই হাজার কোটি রুপির বিটকয়েন কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ কুন্দ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, মামলাটিতে শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার কোনো ভূমিকা আছে কি না বা তিনি এ ঘটনার শিকার কি না তা পরিষ্কার নয়। কিন্তু এখন যেভাবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে ওই ঘটনায় রাজ কুন্দ্রার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।