এ বছর পবিত্র হজ পালনের সময় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের করা টালির বরাত দিয়ে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে। এএফপি জানাচ্ছে, মৃত হাজিদের অর্ধেকের বেশি ছিলেন অনিবন্ধিত। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই এ বছর হজ পালিত হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হজ পালনের স্থান ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বছরে একবার হজ পালিত হয়। ইসলামের পাঁচটি মৌলিক বিধানের একটি হজ। আর্থিক সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তির ওপর জীবনে একবার হজ পালন করার আবশ্যকতা রয়েছে। এএফপির খবরে এখন পর্যন্ত ১০ দেশের ১ হাজার ৮১ জন হাজির মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মিসরীয়।
সৌদি আরবে এ বছর তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই হজ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিসরের আরও ৫৮ হাজির মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। একজন আরব কূটনীতিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হজে মারা যাওয়া ৬৫৮ জন মিসরীয়র মধ্যে ৬৩০ জনই ছিলেন অনিবন্ধিত।
ইসলামি চান্দ্রবর্ষের হিসাব অনুযায়ী হজের সময় নির্ধারণ করা হয়। এ বছর হজের সময় সৌদি আরবে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। জাতীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মক্কার মসজিদুল হারামে তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।
গত মাসে প্রকাশিত সৌদি আরবের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, হজে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে। হজ পালন হওয়া এলাকায় প্রতি দশকে তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়ছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ রোববার জানিয়েছে যে, দুই হাজার হজযাত্রী তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পড়েছেন। গত রোববারের পর থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ পরিসংখ্যান আপডেট করেনি। মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্যই দেয়নি তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমে রাস্তার পাশে অসংখ্য হজযাত্রী প্রাণহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। হাজিদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার অভাব সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিপুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।