গাছে কথা বলছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের গর্জিনা গ্রামে। এই ঘটনার পর থেকে কয়েকদিন যাবৎ গাছটি দেখতে ভিড় করেছেন উৎসুক অসংখ্য মানুষ। গাছে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককে।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের গর্জিনা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আলতাফ শেখের ছেলে কামরুল শেখের নিজ বাড়ীর পাশে রয়েছে একটি গাছ বাগান। স্থানীয়দের তথ্যানুসারে জানা যায়, গত ১৪ জুন ওই বাগানে একটি গাছ কাটতে যায় জুয়েল মোল্লার ছেলে নিরব মোল্লাসহ (১০) আরো কয়েকজন । তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গাছটির গায়ে আঘাত করার সাথে গাছটি কথা বলে ওঠে। এ সময় ওই শিশুরা ভয় পেয়ে বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করে। এর পরপরই পুরো গ্রামব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে গাছে কথা বলার গুজব। অনেকের দাবি গাছের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছে ।
স্থানীয় রাঘদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, মানুষ গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন। শুধু বড়রাই নয়, কথা শোনার চেষ্টা করছে শিশুরাও। অনেক দর্শনার্থী গাছের কথা শুনে এটিকে ‘অলৌকিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে ওই গ্রামের লোকজনই কেবল কথা শুনতে পারেন বলে জানা গেছে।
উৎসুক কয়েকজন জানান গাছে কান পেতে কিছুই শুনতে পাননি। এ বিষয়ে নিয়ে আলাপকালে মুকসুদপুর থানা মসজিদের ইমাম কারী আক্কাস মৃধা বলেন, এই ধরনের ঘটনাকে ইসলাম সমর্থন করে না। গাছের প্রাণ থাকলেও কথা বলতে পারে বলে কখনো শুনিনি। বিষয়টি নিয়ে টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর গোপালগঞ্জ জেলাসহ দেশব্যাপী গুজবটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুর রহমানের নির্দেশনায় মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান টুটুল এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ২২ জুন শনিবার দুপুরে ওই গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।