গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের (২৪) নিজ ঘরে শান্তা আত্মহত্যা করেন। এরপর থেকে প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
শান্তা আক্তার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। প্রেমিক সোহাগ কালিহাতী উপজেলা খালুয়াবাড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন।
জানা যায়, এক বছর আগে মোবাইলে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয় শান্তার। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এক সময় বিয়ের জন্য সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন শান্তা। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন সোহাগ। এছাড়াও তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় মাতুব্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি শান্তা। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে দুঃখ ও ক্ষোভে গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে প্রেমিক সোহাগের টিনেসড বাড়ির একটি ঘরে প্রবেশ করেন শান্তা। পরে ওই ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন শান্তা।
এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’