চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেওয়ার ‘চেষ্টার’ অভিযোগ পাওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে হল প্রশাসন তাকে তার কক্ষে পৌঁছে দেয়।
এ সময় সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, হল ছাত্রলীগের একাধিক পদপ্রত্যাশী নেতা তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের শীর্ষ একজন নেতার নির্দেশ রয়েছে বলে জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলগেটে জড়ো হন। পরে শীর্ষ নেতা এ রকম কোনো নির্দেশ দেননি বলে তিনি জানতে পারেন।
তিনি বলেন, এরপর পদপ্রত্যাশী নেতারা আমার কাছে এসে মাফ চেয়েছেন। তারা চেয়েছেন আমাকে বের করতে পারলে রাজনৈতিক ফায়দা পাবে বা ক্রেডিট নিতে পারবেন। তবে তারা মাফ চেয়ে অনুশোচনা করায় তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
এরপর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সারজিসকে তার কক্ষে পৌঁছে দেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ইশতিয়াক সৈয়দ সমকালকে বলেন, ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল যে সারজিসকে হল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা হলগেটে ভিড় করেন। মূলত তাকে কিছুই করা হয়নি। তবুও আমি তাকে কক্ষে পৌঁছে দিয়ে এসেছি।
জানা যায়, এর আগে অমর একুশে হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের গ্রুপের পদপ্রত্যাশী নেতারা সারজিস আলমকে ‘সাদ্দাম হলে থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন’ বলে জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা কাউকে হল ছাড়তে বাধ্য করিনি। হলে কে থাকবে, কে থাকবে না সেটা হল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে। কাউকে হল ত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য আমরা কোনো নির্দেশ দিইনি।