এই সময়ে নাটকের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি বড় পর্দায়। তবে নাটকে তার চাহিদা রয়েছে। গত ঈদে তার ডজন খানেক নাটক প্রচারে এসেছে বলে জানান তিনি।
তানিয়া বলেন, ‘নাটকে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটছে। এবারের ঈদে ১২-১৩টি নাটক প্রচারে এসেছে। আরও কিছু প্রচারে আসবে। প্রতিটি নাটক থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’ তানিয়া বৃষ্টি অভিনীত ‘যে পাখি ঘর বোঝে না’, ‘মাস্তান’, ‘জায়গায় খায় জায়গায় ব্রেক’ নাটকসহ বেশ কয়েকটি ঈদের নাটক দর্শক মহলে সাড়া জাগিয়েছে।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে লাইট-ক্যামেরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তানিয়া। ‘আঁধারে আলো’ ও ‘ইচিক দানা’ শিরোনামের দুটি নাটকের শুটিংয়ে এখন বরিশালে আছেন তিনি। তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘দুটি নাটকের গল্প ভিন্ন। প্রথমটিতে এক সংগ্রামী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। জেলে থাকা এক গরিব পিতার সংসারের হাল ধরতে তাকে পরের বাড়ি কাজ করতে হয়। অন্যটি রোমান্টিক গল্পের কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের চরিত্রে। হাতে থাকা আরও কিছু চিত্রনাট্যে একে একে কাজ করব।’ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তানিয়া বৃষ্টি।
নাটকে অভিনয় নিয়ে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘এখন কিন্তু যেকোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে তাও ভেবে দেখি।’ বরাবরই নাটকের ছোট পর্দা থেকে সিনেমার বড় পর্দার প্রতিই বেশি আগ্রহ ছিল তার। ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ পেয়ে যান আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ ছবিতে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব পেলেও নিয়মিত হননি বড় পর্দায়।
বড় পর্দায় ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় পর্দার প্রতিষ্ঠিত নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। নাটকের ব্যস্ততায় সিনেমা নিয়ে এখন আর ভাবনা নেই। তবে ভালো প্রস্তাব পেলে ব্যাটে-বলে মিললে হয়তো ফেরা হবে সিনেমায়।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন
তানিয়া বৃষ্টি।