সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের আন্দোলনে রাজধানীসহ উত্তাল সারাদেশ। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর সড়কগুলো। এমতাবস্থায় চলমান এ আন্দোলন নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা সরকারের পক্ষে এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আলোচনায় বসার জন্য আন্দোলনের চার সমন্বয়ককে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রবিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস ইসলাম, নাহিদ ইসলামকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় সরকারের সঙ্গে ‘আলোচনা’র জন্য। পরে আন্দোলনের মূলমঞ্চ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জানানো হয়, আসিফ মাহমুদকেও সেখানে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোথায় এই ‘আলোচনা’র আয়োজন করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রবিবার দুপুর আড়াইটার পর থেকে নিউমার্কেট ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেন ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট মোড় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করলে সায়েন্স ল্যাব থেকে ধানমন্ডি ও মিরপুরগামী সড়কগুলোতে যানচলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। শাহবাগ অবরুদ্ধ থাকায় প্রেসক্লাব ও টিএসসিগামী সড়কেও স্থবির আছে যানচলাচল। পরীবাগ অবরুদ্ধ থাকায় মিন্টু রোড ও ফার্মগেটগামী সড়কেও বন্ধ আছে যানচলাচল। চাঁনখারপুল মোড় অবরুদ্ধ হওয়ায় সেখানকার সংযুক্ত সড়কগুলোতেও যানচলাচল বন্ধ আছে।
এ ছাড়া পুরান ঢাকায় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আশপাশের কলেজের শিক্ষার্থীরাও। আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা অবশ্য বিকেল ৫টার পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন।