বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইউরোর ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ বেছে নেওয়ার লড়াই শুরু হচ্ছে আজ রাত ১টা থেকে। ২৪ দল থেকে ইউরো এখন এসে ঠেকেছে ৪ দলে। যেখানে স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস একে অপরের মুখোমুখি হবে। এই ৪ দল থেকে ফাইনালে দুই প্রতিপক্ষ বেছে নেওয়ার লড়াইয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে স্পেন ও ফ্রান্স।
ইউরোয় তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কিন্তু আজকের সেমিফাইনালের আগে কে কার থেকে এগিয়ে থাকছে। কিংবা পরিসংখ্যান কি বলছে। এই মুহুর্তে ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই দলের অবস্থানে এগিয়ে রয়েছে ফ্রান্স। এমবাপ্পেরা যেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন, পেড্রিদের অবস্থান সেখানে অষ্টম।
তবে ফিফা র্যাংকিংয়ে স্পেনের থেকে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও এখনও পর্যন্ত দুই দলের মুখোমুখি দেখায় স্পেন এগিয়ে রয়েছে। যেখানে ৩৬ বার দুল দল একে অপরের মুখোমুখি হয়ে স্পেনের জয় ১৬টিতে অন্যদিকে ফ্রান্স ১৩টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে। ড্র হয়েছে বাকি ৭টি ম্যাচ।
আবার দুই দলের বড় আসরের পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে ফ্রান্স। যেখানে বিশ্বকাপ আর ইউরোয় দুই দলের পাঁচ দেখায় ফ্রান্সের জয় তিনটিতে আর এক ম্যাচ জিতেছে স্পেন। অপর ম্যাচটি হয়েছে ড্র। তবে সবশেষ দুই দলের ২০১২ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে দেখায় জয়টা স্পেনের। বড় আসরে আজ হতে যাওয়া দুই দলের এটা ষষ্ঠবারের লড়াই।
স্পেন যদি এবার ইউরোর শিরোপা জিতে যায় তাহলে টুর্নামেন্টটার ইতিহাসেই রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জিতবে তারা। অন্যদিকে ফ্রান্স যদি জিতে যায় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপার রেকর্ডে স্পেন আর জার্মানির সঙ্গে ভাগ বসাবে দলটি।
এমন পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটা যে জমজমাট হতে যাচ্ছে সেটা অবধারিত বলাই চলে। তবে যেহেতু আজ স্পেন ও ফ্রান্স ইউরোর প্রথম সেমিতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই দুইটা দলের সেমিফাইনাল রেকর্ডটাও দেখে নেয়া যাক।
ইউরোয় এখনও পর্যন্ত সেমিফাইনাল পাঁচবার খেলেছে স্পেন যেখানে জয় চারটিতে। অপরদিকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের সমান ফ্রান্সও পাচটা সেমিফাইনাল খেলেছে। যেখানে ফ্রান্সের জয় তিনটিতে।
ইউরোপে ফুটবলের দুই পাওয়ার হাউজ স্পেন ও ফ্রান্স এই দুই পরাশক্তির দ্বৈরথ যে জমবে সেটা অনুমেয়ই বলা চলে। আর বিগ ম্যাচের আগে অতীত পরিসংখ্যান পিছনে দুই দলই সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে।সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে আজ ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে আর স্পেনের লামিলে ইয়ামালের দিকেই নজরটা বেশি থাকবে। লেফট উইং থেকে ২৫ বছরে কিলিয়ান এমবাপ্পে কিংবা রাইট উইং থেকে ১৬ বছর বয়সী ইয়ামাল দুইজনই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
এদিকে চলতি ইউরোয় একমাত্র দল হিসেবে স্পেন সবগুলো ম্যাচেই জয়লাভ করেছে, যা এই টুর্নামেন্টির ইতিহাসে এর আগে কোনো দল করে দেখাতে পারেনি। আজ ফ্রান্সকে হারালে সেই টানা ছয়টি ম্যাচ জিতে রেকর্ড গড়বে স্প্যানিশরা। সেক্ষেত্রে স্প্যানিশরা চাইবের রেকর্ডটি করতে। অপরদিকে ফ্রান্স চতুর্থবার ইউরোর ফাইনাল খেলার সুযো কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাইবে না। তবে শেষ হাসি কাদের সেটা জানা যাবে আজ রাতেই।