কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীতে বিক্ষোভ চলাকালে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ জুলাই) মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় সেসব স্থানে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর জেরে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
রবিবার (২৮ জুলাই) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে অন্য সমন্বয়কদের মধ্যে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভের কর্মসূচির ডাক দেন। তারা এই আন্দোলন চলমান থাকবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। সায়েন্সল্যাব, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, প্রেসক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর–১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালীসহ ৮ স্থানে তারা আন্দোলনের ডাক দেন।
সকাল থেকে এসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি টহল দিতে দেখা যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টারও। এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টহল দেন ।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে । অন্যদিকে নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ইতোমধ্যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলি থেকে ইটপাটকেল ছোড়ার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এসময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।