সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম যে, ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবিতে রাখা হয়েছে গ্রেপ্তার হিসেবে, নাকি সেফ কাস্টডি। সেফ কাস্টডি হলে দেখা করতে চাই। আর যদি গ্রেপ্তার হয়, তাহলে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। জবাবে হারুন অর রশীদ বলেছেন, “৬ সমন্বয়কারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল, তাই হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেখা করতে দেওয়া যাবে না”।’
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তখন তাকে বলেছিলাম, ৬ সমন্বয়কারী কি আপনার কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল? জবাবে তিনি বলেন, “আমরা তাদের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছিলাম, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে”। ৬ সমন্বয়কারীকে কখন সেফ কাস্টডি থেকে মুক্তি দেওয়া হবে—প্রশ্নের জবাবে হারুন সাহেব বলেছেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যখন নির্দেশ দিবে তখনই”।’
আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘কোটা আন্দোলনে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কিছুই না। কারণ সম্পদ ধ্বংস হয়েছে সেগুলো গড়ে নেওয়া যাবে। একটি প্রাণ কি ফেরত পাব। প্রাণের মূল্য কোটি কোটি টাকার বেশি।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সোহেল তাজ বলেন, ‘আশা ছাড়া যাবে না। ধৈর্য ধরতে হবে। এই দেশটা তোমাদের। তোমাদেরই এই দেশ গড়তে হবে। সুসময় আসবে।’
এর আগে গতকাল রবিবার ডিবি হেফাজত থেকেই সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এক সমন্বয়ক। এ সময় তার পাশে বসেছিলেন অন্য পাঁচ সমন্বয়ক।
ভিডিও বার্তায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
তবে সমন্বয়কদের বাধ্য করে ওই ঘোষণা দেয়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা আন্দোলন প্রত্যাহার না করে মাঠে নামেন। আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও হাতাহাতি হয়। এ সময় অনেককে আটক করেছে পুলিশ।