পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই মুক্ত নই। এই গণগ্রেপ্তার গণঘৃণার নামান্তর।’ আমাদের মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটিও মুক্তি পাবেন। এই গণগ্রেপ্তার কেবল নিরপরাধ মানুষের অধিকার হরণ নয়; বরং আমাদের সমগ্র সমাজের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একটি নিষ্ঠুরতার প্রতিফলন। এটি মুক্তচিন্তা ও মানবাধিকারের প্রতি এক ভয়ানক আঘাত।
তিনি আর লেখেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন শুধু ব্যক্তির মুক্তির জন্য নয়; বরং বৈষম্য, নিপীড়ন, গণগ্রেপ্তার এবং ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজত থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) ছাড়া পেয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক। দুপুর দেড়টার দিকে সমন্বয়কের স্বজনদের উপস্থিতিতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা নিজেদের গাড়িতে করে তাদের বাসায় পৌছে দেন।
এদিকে ডিবি কার্যালয় ছাড়া পাওয়া ছয় সমন্বয়ক হলেন: নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের, নুসরাত তাবাসসুম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।