1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সারা দেশে ১৪ দিনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার গ্রেপ্তার

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা। ১৯ থেকে ২১ জুলাই দফায় দফায় সংঘর্ষে এখানকার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গলিতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩৩ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অন্য ২৯ জন আন্দোলনের আড়ালে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছে।

 

অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতার অভিযোগে গত ১৪ দিনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় করা পাঁচ শতাধিক মামলায় এদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের তথ্য অনুসারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে রাজধানীতে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, চুরি, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে এ পর্যন্ত ২৭৪টি মামলা করা হয়েছে।

 

এসব মামলায় ১৫ দিনে (১৭ জুলাই থেকে ১ আগস্ট) তিন হাজার ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৩ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৫১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় করা ১৬টি মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এসব মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ মামলা করেছে ১৪টি।

 

এর বেশির ভাগ আসামি অজ্ঞাতপরিচয়। এর বাইরে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁদের পরিবার বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা করেছে। এই দুই মামলার একটিতে ১৭ জন অন্যটিতে ১৬ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এজাহারনামীয় আসামিদের বেশির ভাগ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।

এর বাইরে পুলিশের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সময় দুষ্কৃতকারী/সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

 

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, এসব হত্যার ঘটনায় করা ১৬ মামলার এজাহার গ্রহণ করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএ) আদালত। এই ১৬ মামলার মধ্যে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, দনিয়া ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরফান ওরফে রোকন, ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য মো. আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, মো. সৌরভ মিয়া, মো. তারেক হোসেন এবং ঢাকা কলেজের এইচএসসির (বিজ্ঞান বিভাগ) একজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ছাড়া বাকি ১৫ মামলায় এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD