এদিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আজ এক বিন্দুতে মিলিত হওয়ার শঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা হারলে স্বাগতিকরা বাদ পড়ে বাকি টুর্নামেন্টের নিছক দর্শক হয়ে যাবে। তাই তিনদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের মুখোমুখি হতে যাওয়া পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের বড় ভক্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলে বাংলাদেশও বাদ পড়বে। প্রথম ম্যাচে তারা ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল ৬ উইকেটে।
এদিকে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানে হারের পর গতকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত এরইমধ্যে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে। নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ২, আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে হবে ৪। তাতে নিশ্চিত হবে সেমির টিকিট।
কিন্তু যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ বাংলাদেশের কাছে নিউজিল্যান্ড হারে, তবে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী ও পাকিস্তান দুদলের জন্যই সেমির আশা বেঁচে থাকবে। সেটাও খুব অল্প, কারণ নিউজিল্যান্ড ভারতের বিপক্ষে জিতে গেলে তারাই সেমিতে উঠে যাবে। এখন চোখ দেওয়া যাক নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে। ম্যাচশেষে কার মুখে হাসি থাকবে? করাচিতে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের খেলা একমাত্র ম্যাচে ৩২০ রান করেছিল। আর দুবাইয়ে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে করেছিল ২২৮।
দুবাইয়ের উইকেটের সঙ্গে তারতম্য থাকলেও করাচির মানের উইকেট হতে পারে রাওয়ালপিন্ডিতে। সেক্ষেত্রে আগে ব্যাট করলে তিনশ রান তো লাগবেই, টাইগাররা তাতেও নিরাপদে থাকবে কি না, সেটা প্রশ্ন। আর নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাট করলে তাদের সংগ্রহ যে তিনশ বা তার বেশি হবে, তা অনেকটাই অনুমেয়ও। পাকিস্তানে শেষ চার ওয়ানডের ৩টিতেই তিনশর বেশি রান করেছে নিউজিল্যান্ড, যে ম্যাচটিতে হয়নি, সেখানে টার্গেটই ছিল ২৪৩ রানের। আবার রাওয়ালপিন্ডিতে খেলা সবশেষ ম্যাচে তারা করেছিল ৩৩৬ রান। ২০২৩ সালের সেই ম্যাচ তাড়া করে পাকিস্তান ৭ উইকেটে জিতেছিল।