1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১১ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

টাকা ছাড়া পণ্য দিয়ে ফিতরা হবে?

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
পাঁচটি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সেগুলোর কথা ইসলামের নবী হাদিসে উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির। এসব পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যাবে।

দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে এই পাঁচটি পণ্যের বাজারমূল্য সংগ্রহ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এরপর এসব মূল্যের ওপর ভিত্তি করে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

রমজানে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়।

ফিতরা নির্ণয়ের কিছু নিয়ম নির্ধারিত আছে ইসলাম ধর্মে। একজন ব্যক্তি তার দুই হাতের তালু একত্রিত করে ধরার পর সেখানে যে পরিমাণ খাদ্য রাখা যাবে সেটি ফিতরা হিসেবে দিতে হবে। এই পরিমাণকে আর্থিক মূল্যে নির্ণয় বা পরিমাপ করা যাবে।

পরিমাপ করার জন্য ‘অর্ধ সা’ এবং ‘এক সা’ মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

একমাত্র গম ও চালের ক্ষেত্রে ‘অর্ধ সা’ এবং বাকি চারটি পণ্যের ক্ষেত্রে ‘এক সা’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো ছিল প্রাচীন আরব পরিমাপের একক। পরবর্তীতে এটিকে কেজি ও গ্রামে রূপান্তর করা হয়েছে। ‘অর্ধ সা’ বলতে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম এবং ‘এক সা’ বলতে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বোঝানো হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, মুসলমানগণ নিজ নিজ আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দ্বারা ফিতরা দিতে পারবেন।

ইসলামের বিধান মতে, প্রতিটি সচ্ছল মুসলিম ব্যক্তি, যার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য আছে সেটির ওপর ভিত্তি করে ফিতরা প্রদান বাধ্যতামূলক। এটি নিজের জন্য দেওয়ার পাশাপাশি তার ওপর কেউ যদি নির্ভরশীল থাকে তাদের জন্যও দিতে হবে। যেমন–মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান। একটি পরিবারের কর্তা বা অভিভাবক তাদের নিজের জন্য এবং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ফিতরা দেবেন। এটি ইসলামে বিধান।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD