1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

স্বামীর লাশ দাফন করে বিলম্বে যাওয়ায় পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি তিথিকে

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোবেদা সোহরাব মডেল একাডেমী থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তিথি খাতুন। বিয়ের আট মাসের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্বামীর দাফন শেষে চোখের পানি মুছতে মুছতে বিলম্বে যাওয়ায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। রোববার (৩ মার্চ) শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
যদিও কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের দাবি শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রকের অনুমতি না মেলায় হতভাগা পরীক্ষার্থীর জন্য তারা কিছু করতে পারেনি। শ্যামনগর পৌরসভার মাজাট গ্রামের আরশাদ আলী বাবুর মেয়ে তিথি বাড়ির পার্শ্ববর্তী জোবেদা সোহরাব একাডেমীতে লেখাপড়া করতেন।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী তিথি খাতুন জানান, প্রায় আট মাস আগে খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র দেবহাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। আগের পরীক্ষাগুলো ভাল হয়েছে উল্লেখ করে সে জানায়, শনিবার রাতে এক বন্ধুকে রক্ত দিতে বের হয়ে দেবহাটার কুলিয়া এলাকা ট্রাকের সাথে দুর্ঘটনায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রাতে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর সকাল ১০টায় নিহত স্বামীর জানাজার সিদ্ধান্ত হয়। এক পর্যায়ে জানাজা শেষে মাটি দিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে দ্রুত বেগে একটি বাইকযোগে শ্যামনগরের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছালেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। এসময় স্বামীর মৃত্যু ও দাফনের যাবতীয় বিষয়াবলী প্রমাণসহ জানানোর পরও তার কোন কথা না শুনে বরং পরীক্ষা কক্ষে ঢুকতে বাঁধা দেন।
তিথির প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, মেয়েটি মেধাবী বলে আমি নিজেও অনুরোধ করেছিলাম, তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসিয়ে নতুনভাবে ওএমআর সরবরাহসহ অন্যান্য প্রশ্নপত্র দিয়ে সময় কমিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। এতে করে সদ্য স্বামী হারানো এ কিশোরীর জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়লো।
কেন্দ্র সচিব নকিপুর পাইলঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুষ্ণেন্দু মুখার্জী বলেন, মেয়েটির এমন দুর্ঘটনার কথা জেনে সরাসরি কন্ট্রোলর স্যারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু আগেই ওএমআর বা অবজেকটিভ পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তাকে নতুন করে সেগুলো সরবরাহ করা সম্ভব ছিল না। এছাড়া মাত্র এক ঘণ্টার একটু বেশি কিছু সময় বাকি থাকতে তিথি কেন্দ্রে পৌঁছানোর কারণে তার পক্ষে ওই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব ছিল না।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD