যদিও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে প্রতিটি দলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ নির্ভর করছে তাদের বর্তমান পারফরম্যান্স, বাকি ম্যাচ, এবং প্রতিপক্ষের শক্তির ওপর। এখানে দলগুলোর সামনের সমীকরণগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:
ভারত:
ভারত এই মুহূর্তে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তাদের এখন পর্যন্ত খেলা ৯ ম্যাচের মধ্যে ৬টি জয় এসেছে। বাকি আছে আরও ১০টি ম্যাচ। এই ১০ ম্যাচের মধ্যে অন্তত ৫টি জিতলে ভারত ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে। তাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স এবং বর্তমান ফর্ম বিবেচনায়, ভারতের ফাইনালে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল।
অস্ট্রেলিয়া:
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথে ভালো অবস্থানে আছে। বাকি থাকা ৭টি ম্যাচের মধ্যে অন্তত ৪টি জয় পেলে তারা সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে তাদের সাফল্য তাদের সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড:
নিউজিল্যান্ডের জন্য সমীকরণ একটু জটিল। তাদের বাকি ৮টি ম্যাচে অন্তত ৬টি জয় দরকার ফাইনালে ওঠার জন্য। নিউজিল্যান্ডের সামনের প্রতিপক্ষগুলো শক্তিশালী, যার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো দল। তবে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চমক দেখানোর সুযোগ রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা:
দক্ষিণ আফ্রিকারও ৬টি ম্যাচ বাকি রয়েছে, এবং ফাইনালে জায়গা পেতে অন্তত ৫টি ম্যাচে জয় পেতে হবে। তাদের বাকি সিরিজগুলোর মধ্যে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে। এই ম্যাচগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে হোম অ্যাডভান্টেজ তাদের পক্ষে কাজ করতে পারে।
শ্রীলঙ্কা:
শ্রীলঙ্কাও ঠিক দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অবস্থানে রয়েছে। তাদেরও ৬টি ম্যাচ বাকি, এবং ফাইনালে যাওয়ার জন্য অন্তত ৫টি ম্যাচে জয় পেতে হবে। শ্রীলঙ্কার হোম সিরিজগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, যা কঠিন হলেও শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠের সুবিধা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশ:
বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রে মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে। তাদের সামনে আরও ৬টি ম্যাচ বাকি আছে, এবং ফাইনালে যাওয়ার জন্য তাদেরও অন্তত ৫টি ম্যাচ জিততে হবে। তবে বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ যেমন ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশের জন্য সমীকরণ অনেক কঠিন, তবে সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
ইংল্যান্ড:
ইংল্যান্ড ইতোমধ্যে অনেক ম্যাচ খেলেছে এবং তাদের জয়ের সংখ্যাও বেশ ভালো। তবে স্লো ওভার রেটের কারণে পয়েন্ট হারানোর ফলে তাদের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা কম। বাকি থাকা ৬টি ম্যাচ জিতলেও তাদের অন্যান্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে।
পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
এই দুই দলের অবস্থান খুবই দুর্বল। তাদের বাকি থাকা ম্যাচগুলোতে জয় পেলেও অন্যান্য দলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাদের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।