এবার কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল হয়েছে।আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এ মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
সৈকত আরিফ বলেন, ‘গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের মানুষ সেই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করেছেন যার ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের মধ্যে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে হাসিনার পতন হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এমন একটা দেশের স্বপ্ন যেখানে সেই ফ্যাসিবাদী শাসনের কোন চিহ্ন থাকবে না। গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থাকবে না। মানুষের মত প্রকাশের, চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে।
কিন্ত বর্তমান সরকারের আমলেও আমরা সেই স্বাধীনতা পাচ্ছি না। বিভিন্নভাবে বিরোধী মতের মানুষের ওপর মব তৈরি করা হচ্ছে। মবের মাধ্যমে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে সেসকল ঘটনার বিচার আমরা দেখিনি। মবের মাধ্যমে নারীদের ফুটবল খেলার আয়োজন ও মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে।
এ সকল ক্ষেত্রে সরকার যথাযথ অবস্থান না নিয়ে মবকে উসকে দিচ্ছে।’সৈকত আরিফ আরো বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ড ও জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার তদন্ত ও বিচারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি সড়কদ্বীপে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহসাধারণ সম্পাদক ফাতেমা রহমান বিথী, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেব, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা নগরের সভাপতি আল-আমিন রহমানসহ নেতৃবৃন্দ।