এক ফেসবুক পোস্টে রুনা খান জানান, বাবা চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এই অভিনেত্রী। টিউশন, কোচিং এমনকি অভিনয় করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে চালিয়েছেন নিজের ও ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা, ভাইয়ের ভবিষ্যৎ গড়া ও মায়ের দেখভাল করেছেন। অবশেষে সেই ভাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, চাকরি পেয়েছেন, সংসারও পেতেছেন।
বাবার রেখে যাওয়া ২৫ কাঠা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণত সমাজে যা হয়, তার ঠিক বিপরীতটা করেছেন ভাই তুহিন। প্রচলিত উত্তরাধিকার আইনে যেখানে বোনকে কম অংশ দেওয়া হয়, সেখানে তিনি নিজের সম্পদের অর্ধেক ভাগ তুলে দিয়েছেন বোনের হাতে। কারণ হিসেবে বলেছেন, “আমার বোনই তো এই সম্পত্তি ধরে রেখেছে, তা না হলে আমরা অনেক আগেই এটা বিক্রি করতে বাধ্য হতাম!”
রুনা তার পোস্টে উল্লেখ করেন, পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কখনো কারো কাছে সাহায্য চাননি, ধার নেননি, শুধু নিজের পরিশ্রমেই সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু সম্পত্তি বণ্টনের সময় যখন সমাজের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তিনি ছোট অংশ পাওয়ার কথা, তখন তার ভাই সিদ্ধান্ত নেন অন্যরকমভাবে। ভাই বলেন, ‘রুনার আমার থেকে ১০ গুণ বেশি আছে, তাই অর্ধেক দিলাম, নইলে পুরোটাই দিতাম।’
রুনা খান তার পোস্টে আরও বলেন, এই দেশের বহু মেয়ে পরিবারের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে। কিন্তু আমার ভাই যা করেছে, তা এই সমাজে খুব কম দেখা যায়। এ দেশের ছেলেরা যদি আমার ভাইয়ের মতো হতো, তাহলে বোনদের সম্পত্তির জন্য লড়তে হতো না।
এদিকে, সম্প্রতি সম্পত্তি নিয়ে চিত্রনায়িকা পপির সঙ্গে তার পরিবারের দ্বন্দ্ব সামনে আসে। পপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে বাবার সম্পত্তি দখলের। এ নিয়ে পপির বোন ফিরোজা বেগম খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, পপি তার বাবার ১১ কাঠা জমির সম্পূর্ণ অংশ এককভাবে দখল করতে চান। নানা অভিযোগ তুলেছেন তার মা ও ভাইবোনেরাও। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন পপি।
চিত্রনায়িকার ভাষ্য, ‘এদের শরীরের চামড়া, জামা কাপড় সব আমার পরিশ্রমের টাকায় কেনা। আমার পরিবারের কেউ কখনও উপার্জন করে খায়নি। অথচ এখন তারাই আমাকে ঠকাচ্ছে।’