যদিও মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ছবি তোলায় বিধিনিষেধ ছিল। তাই আমন্ত্রিত অতিথিদের যাঁরাই অনুষ্ঠানে ছিলেন, তাঁদের কেউই কোনো স্থিরচিত্র পোস্ট করেননি। তবে এত কড়াকড়িতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঠিকই ফাঁস হয়েছে মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদের একাধিক স্থিরচিত্র। ঢাকার অদূরে অনুষ্ঠিত সেই গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের একাধিক স্থিরচিত্র নিকটজনদের ইনবক্সে। এসব স্থিরচিত্রে মেহজাবীনের সঙ্গে দেখা গেছে তাঁর প্রযোজক ও পরিচালক বর আদনান আল রাজীবকে। দুজনকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। তাঁদের পেছনে ছিল বাদ্যযন্ত্রীদের একটি দল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে মেহজাবীন ও আদনানের আক্দ সম্পন্ন হয়। তাঁদের বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবীন চৌধুরী এবং বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’ মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের সম্পর্ক নিয়ে বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের ঘনিষ্ঠজনেরা জানতেন, তবে তাঁরা এটি নিয়ে কখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একাধিক তারকা ও পরিচালক এবং দুজনের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁরা সবাই জানালেন, ছবি তোলার ক্ষেত্রে বেশ কড়াকড়ি করেছে বর-কনে কর্তৃপক্ষ। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিজেদের মুঠোফোনে ছবি না তোলার জন্য বারবার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এত কিছুর পরও দুজনের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র ফাঁস হয়েছে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মতে, গতকাল সন্ধ্যার দিকে মেহজাবীন ও আদনানের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষ হয়। আজ সোমবার একই ভেন্যুতে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। জানা গেছে, মেহজাবীন নিজেই তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের স্থিরচিত্র পোস্ট করবেন। এরপর অতিথিরা তাঁদের স্থিরচিত্র পোস্ট করার সুযোগ পাবেন। তার আগে কারও ছবি পোস্ট করার অনুমতি নেই।
জানা গেছে, গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব মিলিয়ে আড়াই শ অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। এদিন মেহজাবীনের পরনে ছিল লেহেঙ্গা আর আদনান পরেছেন পাঞ্জাবি-পায়জামা।
মেহজাবীন ও আদনানের প্রেম বিনোদন অঙ্গনে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ব্যক্তিগত জীবনের এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। একটা সময় দুজনকে দেশে ও দেশের বাইরে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। ঘোরাঘুরির সময় তোলা স্থিরচিত্র হাতবদল হয়ে ফেসবুকেও পোস্ট হয়েছে। কখনো নিজেরা নিজেদের ইনস্টাগ্রামে রোমান্টিক মুহূর্তের স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তের স্থিরচিত্র ফেসবুকে প্রকাশের পর দুজনকে নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা বাড়তে থাকে। তখনো তাঁরা ছিলেন নীরব। হঠাৎ কয়েক বছর ধরে তাঁদের নিয়ে গুঞ্জন, মেহজাবীন ও রাজীব বিয়ে করেছেন! তাঁরা সংসারও করছেন। এসব যখন চর্চিত হচ্ছিল, তখন কৌশলে নিজেদের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগে মেহজাবীনের স্বীকারোক্তি ছিল এমন, তিনি বিয়ে করছেন, পাত্র আদনান আল রাজীব, যাঁর সঙ্গে কয়েক বছর ধরে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন।