আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ওই ইউপি সদস্যের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আমিনের ঘর থেকে ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা মুহিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমিন ট্রলির হেলপার হিসেবে কাজ করেন। এ ঘটনায় আমিনসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার বাদ জোহর শোকাবহ পরিবেশে রাবেয়া-আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদীঘলীয়ায় দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড়ির পাশের দোকানে জুস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মুহিন। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাড়াটিয়া আমিন, ওই গ্রামের শাওন, ইসান ও সিহাবকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে আমিনের ঘর থেকে বস্তায় বেধে ট্রাঙ্কে আটকে রাখা মুহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আমিনের মা শাহানারা বেগমকে আটক করা হয়।
পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় বেধে ট্রাংকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে কেন হত্যা করা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
মুহিন মোল্লার চাচা ওলিয়ার রহমান মোল্লা আভিযোগ করে বলেন, ‘মুহিনের বাবা মঞ্জু মোল্লা ইউপি মেম্বর ও ইটভাটা মালিক। তার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা যাবে। সে উদ্দেশে মুহিনকে অপহরণ করা হয় বলে আমরা সন্দেহ করছি। অপহরণের পর আমিনের ঘর থেকে মুহিনকে অন্যত্র নিতে ব্যর্থ হয় অপহরণকারীরা। তারপর তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দী করে ট্রাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানাচ্ছি।’