মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৮ বছর।
‘সোনালি বাহুর অধিকারী মানুষ’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন হ্যারিসন। তার রক্তে একটি বিরল অ্যান্টিবডি (অ্যান্টি-ডি) ছিল। এই অ্যান্টিবডি এমন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, যা গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। মূলত যেসব মায়ের রক্ত অনাগত শিশুর রক্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তাদের শরীরেই এই ওষুধটি দেওয়া হয়।
২০০৫ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ প্লাজমা দানের রেকর্ড করেছিলেন হ্যারিসন।
অ্যান্টি-ডি ইনজেকশন অনাগত শিশুকে ‘হিমোলাইটিক ডিজিজ অব দ্য ফিটাস অ্যান্ড নিউবর্ন’ (এইচডিএফএন) নামে একটি প্রাণঘাতী রক্তজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। এই অবস্থাটি তখনই ঘটে, যখন গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তের লোহিত কণাগুলো শিশুর রক্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এমন পরিস্থিতিতে মায়ের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা শিশুর রক্তকণাগুলোকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এগুলোকে আক্রমণ করতে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি শিশুর জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে শিশুর মারাত্মক অ্যানিমিয়া, হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।