দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। কিউদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ড্যারিল মিচেল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের ৮৩ বলে ৭৬ রানের ওপর ভর করে সহজ জয় পায় ভারত।
ফাইনালে চার বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। কেনো এত স্পিনার তার প্রমাণ মিলেছে মাঠে। চার স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব মিলে ৩৮ ওভারে দিয়েছেন ১২৫ রান। তুলে নিয়েছেন কিউইদের ৫টি উইকেট।
অথচ আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম উইকেট জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেছেন উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র। ২৩ বলে ১৫ রান করা ইয়ংকে ফিরিয়ে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন ইয়ং। দুর্দান্ত শুরু করা রাচিন ২৯ বলে খেলেছেন ৩৭ রানের ইনিংস।
তিনে নেমে ভালো করতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন। ১৪ বলে ১১ রান করে ফিরেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসে প্রতিরোধ গড়েন ড্যারিল মিচেল। কিন্তু তুলনামুলক ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ১০১ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটিতে ৩টি বাউন্ডারি মেরেছেন মিচেল। গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।
নিউজিল্যান্ড মূলত লড়াকু সংগ্রহ পায় মাইকেল ব্রাসওয়েলের কল্যাণে। ৪০ বলে ৩টি বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্রেসওয়েল।
ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বরুণ ও যাদব। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন জাদেজা ও শামি।
রান তাড়ায় ভারতকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল। শুরুতে কিউই বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলেন দুই ওপেনার। ৫০ বলে ৩১ রান করা গিলকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিচেল স্যান্টনার। শট কাভারে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন ফিলিপস।
বিরাট কোহলি ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে ভারতকে ম্যাচে রাখেন রোহিত। শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা ভারতীয় অধিনায়ক পরে দেখেশুনে খেলেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৩ বলে ৭৬ রান।
এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনেই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। তবে ৪০ বলে ২৯ রান করে ফিরেছেন অক্ষর। আইয়ার ফিরেছেন ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে। ৬২ বলে ৪৮ রান করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
তবে ভারতকে বিপদে পড়তে দেননি লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া। দারুণ ব্যাটিং করা হার্দিক ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ১৮ বলে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। তবে দলের জয় নিয়ে ঠিকই মাঠ ছাড়েন রাহুল। ৩৩ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।