হতাশা নিয়েই দেশ ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী, সামিত সোমরা। যে প্রত্যাশার পারদ জ্বালিয়ে ছিলেন, যে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন দেশের মানুষদের; আপাতত তা পূরণ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাদের।
গতরাতে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে আজ বুধবার সকালেই নিজ নিজ ক্লাবে ফিরে যাচ্ছেন হামজা চৌধুরী ও সামিত সোম। ভোর সাড়ে ছয়টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশ ছাড়েন তারা।
তার্কিশ এয়ার লাইনসের একটি ফ্লাইটে একই সাথে দেশ ত্যাগ করেন হামজা চৌধুরী ও সামিত। এরপর তুরস্ক থেকে দুইজনের পথ আলাদা হয়ে যাবে। হামজা ধরবেন ইংল্যান্ডের ফ্লাইট, সামিত যাবেন কানাডায়।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে গত ২ জুন দেশে আসেন হামজা চৌধুরী, যোগ দেন অনুশীলনে। এরপর ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও অংশ নেন তিনি, দেশের জার্সিতে প্রথমবারের মতো খেলেন দেশের মাটিতে।
স্মরণীয় এই মুহূর্ত আরো স্মরণীয় করে তুলেন হামজা। দেশের হয়ে পেয়ে যান প্রথম গোলের দেখা। যার ফলে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। আশার পালে লাগে হাওয়া।
অন্যদিকে সামিত এসেছিলেন ৪ জুন সকালে। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে যদিও মাঠেই ছিলেন তিনি, তবে খেলা হয়নি তার। দেশের জার্সিতে সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়েই অভিষেক কানাডার লিগে খেলা এই ফুটবলারের।
গতরাতে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে অভিষেক হয় সামিতের। তবে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। বাংলাদেশ হেরে যায় ২-১ গোলে।
এই হারে বড় ধাক্কা খায় দেশের মানুষ। কেননা হামজা-সামিতের অন্তর্ভুক্তিতে নতুন করে জেগে উঠেছিলেন তারা। মেতে উঠেন ফুটবল প্রেমে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভিন্ন এক উন্মাদনা। একটা ম্যাচ ঘিরে এতো আলোচনা আগে কখনো দেখা যায়নি।
যদিও দেশ ছাড়ার আগে হামজা শুনিয়ে গেছেব আশার বাণী। নিজের ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হামজা লিখেন- ‘আমরা যে ফলাফল চেয়েছিলাম তা হয়নি। কিন্তু দল হিসেবে এবং জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি!’
‘আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, আমরা সবেমাত্র শুরু করছি। ইনশা আল্লাহ আমরা খুব শিগগির যেখানে যেতে চাই সেখানে পৌঁছাবো! ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। অক্টোবরে দেখা হবে তোমাদের সাথে।