টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ডাবলিনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট এবং ১ বল হাতে রেখেই তুলে নেয় আইরিশরা।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আয়ারল্যান্ড প্রথমেই রিজওয়ানের উইকেট তুলে নেয়। দ্বিতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম।
সাইম ২৯ বলে ৪৫ রান তুললেও সেই তুলনায় বাবর ছিলেন কিছুটা মন্থর। ৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান করেন পাক অধিনায়ক।
এই জুটি ভাঙার পর কিছুটা পথ হারায় পাকিস্তান। তবে ইফতিখার আহমেদ ও শাহিন আফ্রিদি যুগল শেষদিকে দলের হয়ে হাল ধরেন বেশ ভালোভাবেই। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাহিন। ইফতিখার ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ১৫ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
স্বাগতিকদের হয়ে ক্রেইগ ইয়াং দুটি, মার্ক অ্যাডায়ার ও ডিল্যানি নেন একটি করে উইকেট।
১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৭ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। তবে দলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি বালবার্নি। শুরুর চাপ সামলে হ্যারি টেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। ২৭ বলে ৩৬ করা টেক্টরকে ফিরিয়ে তা ভাঙেন ইমাদ ওয়াসিম।
এরপর উইকেটে এসেই রান তোলার গতি বাড়ান জর্জ ডকরেল। তার ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে জয়ের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায় আইরিশদের। তার ওপর এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন বালবার্নি। তবে ডকরেলের পর নিজেও যখন সাজঘরে ফেরেন তখন কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা কাজ করছিল তার মনে।
৫৫ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হন বালবার্নি। তার পরিবর্তে ক্রিজে আসা ক্যাম্ফার নিজের প্রথম বলেই রিভার্স স্কুপে চার হাঁকান।
আব্বাস আফ্রিদির শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণটি এক বল হাতে থাকতেই মিলিয়ে দেন তিনি। উইনিং শটটি লেগ বাইয়ের মাধ্যমে এলেও ৭ বলে ৩ চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। অপরদিকে ৬ বলে ১ চারে ১০ রান নিয়ে ভূমিকা রাখেন গ্যারেথ ডিল্যানিও। পাকিস্তানের হয়ে দুই উইকেট নেন আব্বাস। এছাড়া একটি করে শিকার শাহিন, নাসিম শাহ ও ইমাদের।