র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু র্যাঙ্কিংয়ে নয় খেলার মান, ক্রিকেটারদের মান, জনপ্রিয়তা-সবদিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজনে পিছিয়ে তারা। সেই দলটাই কিনা সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে! ক্রিকেটে মাত্রই যাত্রা শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র ব্যাটিং-বোলিংয়ে আধিপত্য দেখিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে ৫ উইকেটে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় আরও একটি ম্যাচ। এই ম্যাচে নিশ্চিত ভাবেই দুই দলের লক্ষ্যটা ভিন্নরকম। যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সুযোগ সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার। অন্যদিকে, বাংলাদেশকে সিরিজ বাঁচাতে যে কোনও মূল্যে জিততে হবে। ম্যাচটা সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টিভি।
হিউস্টনে মহাসড়কের পাশে খোলা ময়দানে অস্থায়ী স্থাপনায় তৈরি কমপ্লেক্স। সেখানেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রস্তুতির অংশ এই সিরিজ। কিন্তু প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা খেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর স্কোরবোর্ডে কোনওরকমে ১৫৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। বোলিংয়েও ছিল একই অবস্থা। মিডল ওভারে কিছুটা ভালো করলেও শুরু আর শেষে ছিল ছন্নছাড়া বোলিং। এর বাইরে ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাততো ছিলই। তিন বিভাগে বাংলাদেশ যখন ছন্নছাড়া, তখন স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে চমকে দিয়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম হারে অতীতের সব রেকর্ডে তছনছ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০ ওভারের ফরম্যাটে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, এমনকি হংকংয়ের কাছেও হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। কেননা র্যাঙ্কিংয়ে এতো দূরে থাকা দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে কখনো হারের লজ্জা পায়নি। এবার তাই সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্স দলটির আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে এখন সামনে তাকানোর পালা। এই ম্যাচটা যুক্তরাষ্ট্র জিতে নিতে পারলে সেটা তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোঁয়ালে বিশ্বকাপের আগে আরও বড় ধাক্কা খাবে। বিশ্বকাপের আগে শান্তর দলকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচে আক্রমণাত্মক, আগ্রাসী ক্রিকেটে খেলতেই হবে। নয়তো ধুঁকে ধুঁকে বিশ্বকাপে গিয়ে আরও একবার খালি হাতে বিমান ধরবে শান্ত বাহিনী।