1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশ্যে এলেন বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪

দীর্ঘ ১৪ দিন পর জনসম্মুখে আসলেন ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমানের স্ত্রী ও রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন লায়লা কানিজ লাকি। পরে তিনি আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে এক প্রস্ততিমূলক সভায় যোগ দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান। এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে কার্যালয় অথবা বাড়ি বা তার পার্কে কোথাও দেখা যায়নি, কল করে পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি কোথায় ছিলেন, তাও কেউ বলতে পারেনি।

 

ঈদের পর অফিস খোলা থাকলেও কোনো ছুটি না নিলেও লায়লা কানিজ লাকি কার্যালয়ে যাননি। তিনি সর্বশেষ ঈদুল আজহার দুই দিন আগে অফিস করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত একটি গাড়িতে করে উপজেলা পরিষদে আসেন আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান লাকি। পরে তিনি দুটি প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন। সভা শেষে লাকি নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সভা চলাকালীন সময় ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সভা শেষে বের হলে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলেই গাড়িতে উঠে চলে যান।

স্থানীয়রা বলছেন, লায়লা কানিজের বাবা কফিল উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন একজন খাদ্য কর্মকর্তা। তার মেয়ে লায়লা কানিজ সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করলেও সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে যায়। গত ১৫ বছরে তার সম্পদ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন তার স্বামী আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের অবৈধ উপার্জনে। শিক্ষকতার আয়ে বা পেনশনের টাকায় তার এত সম্পদ থাকার কথা নয়।

এদিকে, চেয়ারম্যান অফিস না করার কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর বুধবার পর্যন্ত তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ওই সময় অনেক ভুক্তভোগী উপজেলা পরিষদে এসে তাকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। এতে সেবাবঞ্চিত হয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এটা তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।

 

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD