এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কিছু কিছু নেতা ফেসবুকে বা বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্যে বলছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হবেন। এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এটি আমাদের দলের অবস্থান নয়।
জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করার জন্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ইনক্লুসিভ নির্বাচন নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে স্থানীয় সরকার না পরে জাতীয় সংসদ এই বিতর্কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। বরং এই সরকারকে জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে, তারাই নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে।
গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন স্থানীয় সরকারে হওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে জাতীয় নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি যেমন দুঃখের দিন, তেমনি অন্যদিকে প্রেরণা ও গৌরবের দিন। কারণ, ৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের সোপান বেয়েই এই দেশে ছাত্র আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে, আমরা জাতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি৷
তিনি আরো বলেন, যুগে যুগে ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রেরণা দিয়েছে, আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে সাহস জুগিয়েছে। আমরা এই পথ ধরেই ৯০-এর অর্জন তৈরি করেছি। এরই পথ ধরে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সুতরাং এর সবগুলোতেই ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদেরকে প্রেরণা জুগিয়েছে, আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করেছে, আমাদের সংগ্রামের মধ্যে শামিল করেছে।