ঈদে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা থাকে বেশি। এ কারণে এসব নোটের দামও বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। মতিঝিলের নতুন ও ত্রুটিযুক্ত নোটের ব্যবসায়ীরা জানান, গতবার যারা নতুন নোট নিয়ে রেখেছিল, তারাই এখন আমাদের দিচ্ছে। সরবরাহকারীরাই দর নির্ধারণ করে দেয়, আমরা বিক্রি করলে কমিশন পাই। ১০ টাকার একটা বান্ডিল নিতে বাড়তি ৭০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। উচ্চমূল্য হওয়ায় নতুন টাকার বিক্রিও কমেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ কিনছেন না।
গতকাল মতিঝিলে ১০ টাকার নতুন নোট কিনতে এসেছিলেন শনির আখড়া থেকে আরাফাত ইসলাম। দরদাম করে প্রতি বান্ডিলে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা দিয়ে ৫০ টাকার নতুন নোটের ১০০টির বান্ডিল কিনেছেন। তিনি বলেন, আমার চাহিদা ছিল ১০ ও ২০ টাকার নোটের। কিন্তু প্রতি ১০০টিতে ৭০০ টাকা বেশি চাওয়ায় নিতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবারই ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার নতুন নোট কিনি। গতবার ২০ হাজার টাকার নোট নিয়েছিলাম অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা দিয়ে। এখন তো দাম অনেক বেশি। পুরান টাকা দিয়ে ঈদে চলতে হবে এবার।’
আরাফাত বলেন, অনেকেই দরদাম করে না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেকেই বান্ডিল ভেঙে ১০ থেকে ২০টি নোট নিচ্ছেন বাড়তি টাকা দিয়ে। মতিঝিলের বিক্রেতারা বলেন, তারা সাধারণত বান্ডিল ভেঙে নতুন নোট বিক্রি করেন না। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় এবার করতে হচ্ছে।
গুলিস্তানের বিক্রেতারা জানান, ‘নতুন টাকা নাই আমাদের কাছে। গতবছর অনেক টাকা বিক্রি হয়নি, তার মধ্যে থেকে কিছুু বিক্রি করেছি এখন। তিনি বলেন, দাম আরও বাড়বে, এখন ৭০০ টাকা বাড়তি দিলে ১০ টাকার নতুন ১০০টি নোট পাচ্ছেন। দাম কত টাকায় উঠবে বলতে পারছি না।
নতুন টাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২ ও ৫ টাকার নতুন নোটের দাম বেড়েছে দিগুণ। ২ টাকার ১০০টি নোট বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা এবং ৫ টাকার ১০০টি নতুন নোটের বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। আর ১০০ টাকা মানের নতুন নোট নিতে প্রতি বান্ডিলে (১০ হাজার) গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ বাজারে নতুন নোট পাওয়া যাবে। জানা গেছে, সবশেষ ২০২০ সালে নতুন নকশায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত নতুন ২০০ টাকার নোট চালু হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া সবশেষ নোট ছাপা হয়েছিল ২০০৯ সালে।